জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খুবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ, জেগে ওঠো মানুষ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ (২১ জুলাই ২০১৬) বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় প্রশাসন ভবনের সামনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্যোগে সাম্প্রতিক ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, এ ধর্মে মানুষ হত্যার কথা নেই, এমনকি যদি কেউ অন্য ধর্মেরও হয় তাকেও হত্যা করার অনুমতি নেই। ইসলামের ইতিহাস থেকে শুরু করে এই বাংলায় সফরকারী পর্যটক, ঐতিহাসিক ইবনে বতুতা, ইউ এন সাং বাংলার চমৎকার ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করেছেন, শান্তিময় ধর্মীয় পরিবেশের কথা উল্লেখ করেছেন। এদেশে অতীতে যেমন ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ নির্বিঘ্নে স্ব স্ব ধর্ম পালন করে এসেছে এখনও সেই পরিবেশই সবার কাম্য। তাই এদেশের মাটিতে সন্ত্রাস জঙ্গীবাদের ঠাঁই হবে না।
তিনি বলেন আমরা যদি দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ থাকি গুটি কয়েক জঙ্গী কিছুই করতে পারবে না। তারা জনপ্রতিরোধে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, জঙ্গীবাদ আসলে সন্ত্রাস। সন্ত্রাস সৃষ্টি করে কোনো উদ্দেশ্য সফল করা যায় না। সন্ত্রাস ও জঙ্গী তৎপরতার মাধ্যমে সারা বিশ্বে শান্তির ধর্ম ইসলামকে অবমাননা করার চেষ্টা করা হচ্ছে, ধর্ম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর পিছনে ইহুদি চক্র জড়িত থাকতে পারে।
তিনি বলেন ৭১ এর চেতনায় দেশবাসী ধর্ম, বর্ণ, মত পথ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রত্যেক পাড়ায় মহল্লায় প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন করে এবং আমরা প্রত্যেকে যদি সজাগ থাকি তবে জঙ্গীবাদ ও মদদদাতারা নির্মূল হবে। জঙ্গীবাদের সাথে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কারও সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উপাচার্য হুশিয়ার করে দেন। তিনি বলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারী শুরু হয়েছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান।
তিনি বলেন জঙ্গীবাদ মোকাবেলা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, আসুন আমরা দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর মোকাবেলা করি। এছাড়া মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (চলতি দায়িত্ব) শেখ শারাফাত আলী, উপ-রেজিস্ট্রার দীপক চন্দ্র মন্ডল, মোঃ তারিকুজ্জামান লিপন, উপ-পরিচালক গাজী আলাউদ্দিন আহমেদ, সহকারী রেজিস্ট্রার এস এম মোহাম্মদ আলী, সেকশন অফিসার বিমান সাহা, অফিস সহকারী মোস্তফা আল-মামুন প্রবাল।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থাগারিক ড. কাজী মোকলেছুর রহমান, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক খান মোঃ অলিয়ার রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কানিজ ফাহমিদা, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের শাখা প্রধান উপ-রেজিস্ট্রার শেখ আরিফ নেওয়াজ, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, উপাচার্যের সচিব হাওলাদার আলমগীর হাদী, সহকারী রেজিস্ট্রার শহীদুল আলম হাওলাদার, কাকলি রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। মানববন্ধন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ মিজানুর রহমান মিজু।