ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

শেকৃবিতে ডীন অফিসে তালা আন্দোলন অব্যাহত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০১৬ ০ বার পড়া হয়েছে

ডিগ্রির নাম পরিবর্তনের দাবিতে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পর ডীন অফিসসহ অনুষদের সকল বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এসময় ডিগ্রির নাম পরিবর্তনের দাবিতে শুরু হওয়া এ আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত এ কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। সোমবার সকাল ৯ টা হতে অনুষদ চত্বরে একত্রিত হতে থাকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

 

এদিকে অভিভাবকদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপির মাধ্যমে বর্তমান ডিগ্রি বিবিএ(এগ্রিবিজনেস) কে পরিবর্ধন, পরিমার্জন করার জন্য উপাচার্য বরাবর আবেদন করা হয়েছে। তবে যে সকল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে তারাও  বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন তারা।

 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এ কাজটি অত্র অনুষদের কোন শিক্ষক করে থাকতে পারেন। শিক্ষার্থীরা একাজের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মে ২০১৬ তারিখে ডিগ্রীর নাম বিবিএ(এগ্রিবিজনেস) থেকে পরিবর্তন করে স্নাতক পর্যায়ে বিএসসি  ইন এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এম.এস করার দাবিতে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয় এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কয়েক দফায় মানববন্ধন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে সাক্ষাত করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ না গ্রহণ করায় গত রবিবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডীনের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অত্র অনুষদের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার কথা বলে।

 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, বর্তমান ডিগ্রি নন-টেকনিক্যাল ও নতুন হওয়ায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেও স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদন করতে পারছেন না তারা। এমনকি বর্তমান ডিগ্রির নাম নিয়ে বিভিন্ন চাকরির মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।

 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কৃষি বিপণন ব্যবস্থা উন্নয়নের তাগিদে দক্ষ জনশক্তি সরবরাহের জন্য ২০০৭ সালে এ অনুষদ চালু করা হয়। শুরু থেকে ‘বিএসসি ইন এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট’ ডিগ্রি দেওয়া হলেও ২০১৩ সালের মে মাসে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৬০তম সভায় তা পরিবর্তন করে ‘বিবিএ ইন এগ্রিবিজনেস’ করা হয়।#

 

আরএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেকৃবিতে ডীন অফিসে তালা আন্দোলন অব্যাহত

আপডেট সময় : ০৭:০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০১৬

ডিগ্রির নাম পরিবর্তনের দাবিতে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পর ডীন অফিসসহ অনুষদের সকল বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এসময় ডিগ্রির নাম পরিবর্তনের দাবিতে শুরু হওয়া এ আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত এ কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। সোমবার সকাল ৯ টা হতে অনুষদ চত্বরে একত্রিত হতে থাকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

 

এদিকে অভিভাবকদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপির মাধ্যমে বর্তমান ডিগ্রি বিবিএ(এগ্রিবিজনেস) কে পরিবর্ধন, পরিমার্জন করার জন্য উপাচার্য বরাবর আবেদন করা হয়েছে। তবে যে সকল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে তারাও  বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন তারা।

 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এ কাজটি অত্র অনুষদের কোন শিক্ষক করে থাকতে পারেন। শিক্ষার্থীরা একাজের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মে ২০১৬ তারিখে ডিগ্রীর নাম বিবিএ(এগ্রিবিজনেস) থেকে পরিবর্তন করে স্নাতক পর্যায়ে বিএসসি  ইন এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এম.এস করার দাবিতে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয় এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কয়েক দফায় মানববন্ধন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে সাক্ষাত করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ না গ্রহণ করায় গত রবিবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডীনের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অত্র অনুষদের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার কথা বলে।

 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, বর্তমান ডিগ্রি নন-টেকনিক্যাল ও নতুন হওয়ায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেও স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদন করতে পারছেন না তারা। এমনকি বর্তমান ডিগ্রির নাম নিয়ে বিভিন্ন চাকরির মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।

 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কৃষি বিপণন ব্যবস্থা উন্নয়নের তাগিদে দক্ষ জনশক্তি সরবরাহের জন্য ২০০৭ সালে এ অনুষদ চালু করা হয়। শুরু থেকে ‘বিএসসি ইন এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট’ ডিগ্রি দেওয়া হলেও ২০১৩ সালের মে মাসে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৬০তম সভায় তা পরিবর্তন করে ‘বিবিএ ইন এগ্রিবিজনেস’ করা হয়।#

 

আরএইচ