ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে খুবি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০১৬ ০ বার পড়া হয়েছে

চলমান সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাউন্সিলিং, মনিটরিং জোরদার, একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলে সিসি ক্যামেরা লাগানো ও শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির তালিকা তৈরীসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সোমবার দুপুরে একাডেমিক প্রধানদের সাথে উপাচার্যের মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 

সভায় দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিসহ সরকারি নির্দেশনা অবহিতকরণ,একাডেমিক কার্যক্রম ও ঈদোত্তর শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়। সভায় ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধানগণ, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টবৃন্দসহ একাডেমিক সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে সাম্প্রতিক জঙ্গী হামলায় ধর্মবর্ণসহ যেসমস্ত দেশি-বিদেশি নাগরিক নিহত হন তাদের স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

 

উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার ঘটনায় এবার ঈদের আনন্দ ম্লান করে দিয়েছে। দেশ ও জাতি হিসেবে আমাদের গড়ে ওঠা দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের ওপর আঘাত এসেছে। স্বাধীন, সার্বভৌম, সভ্য দেশ হিসেবে এটা আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। আমরা এই জঘন্য হামলার নিন্দা জানাই। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে আমরা যারা দেশকে ভালোবাসি তারা কেউ নিরাপদে থাকতে পারবো না। একান্তভাবে ধর্মপালন, শিক্ষা গ্রহণসহ কোনো পেশাই এবং কোথাও নিরাপদে থাকা যাবে না। তিনি বলেন ধর্ম কোনো উস্কানীমূলক কথা বলে না। শান্তি ও কল্যাণের কথা বলে। কিন্ত ধর্মের নামে আজ যা করা হচ্ছে এতে পবিত্র ধর্মকেই অবমাননা করা হচ্ছে।

 

সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ক্লাশে ক্লাশে কাউন্সিলিং করা, একাডেমিক সকলস্তরে ও আবাসিক হলে নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করা, একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলসমূহে এবং গেস্ট হাউজে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার করা, শিক্ষার্থী শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারিসহ যেকারও বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ সম্পৃক্ততা, মদদদান, উৎসাহদানসহ এধরনের অপতৎপরতার কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সবাই একমত পোষণ করেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়া সভায় একাডেমিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়। ##

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে খুবি

আপডেট সময় : ০৫:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০১৬

চলমান সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাউন্সিলিং, মনিটরিং জোরদার, একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলে সিসি ক্যামেরা লাগানো ও শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির তালিকা তৈরীসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সোমবার দুপুরে একাডেমিক প্রধানদের সাথে উপাচার্যের মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 

সভায় দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিসহ সরকারি নির্দেশনা অবহিতকরণ,একাডেমিক কার্যক্রম ও ঈদোত্তর শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়। সভায় ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধানগণ, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টবৃন্দসহ একাডেমিক সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে সাম্প্রতিক জঙ্গী হামলায় ধর্মবর্ণসহ যেসমস্ত দেশি-বিদেশি নাগরিক নিহত হন তাদের স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

 

উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার ঘটনায় এবার ঈদের আনন্দ ম্লান করে দিয়েছে। দেশ ও জাতি হিসেবে আমাদের গড়ে ওঠা দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের ওপর আঘাত এসেছে। স্বাধীন, সার্বভৌম, সভ্য দেশ হিসেবে এটা আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। আমরা এই জঘন্য হামলার নিন্দা জানাই। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে আমরা যারা দেশকে ভালোবাসি তারা কেউ নিরাপদে থাকতে পারবো না। একান্তভাবে ধর্মপালন, শিক্ষা গ্রহণসহ কোনো পেশাই এবং কোথাও নিরাপদে থাকা যাবে না। তিনি বলেন ধর্ম কোনো উস্কানীমূলক কথা বলে না। শান্তি ও কল্যাণের কথা বলে। কিন্ত ধর্মের নামে আজ যা করা হচ্ছে এতে পবিত্র ধর্মকেই অবমাননা করা হচ্ছে।

 

সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ক্লাশে ক্লাশে কাউন্সিলিং করা, একাডেমিক সকলস্তরে ও আবাসিক হলে নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করা, একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলসমূহে এবং গেস্ট হাউজে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার করা, শিক্ষার্থী শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারিসহ যেকারও বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ সম্পৃক্ততা, মদদদান, উৎসাহদানসহ এধরনের অপতৎপরতার কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সবাই একমত পোষণ করেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়া সভায় একাডেমিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়। ##