কারিগরি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী
কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। সরকার কারিগরি শিক্ষায় তালিকাভুক্তি ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। বর্তমানে এই তালিকাভুক্তি ১৩ শতাংশ।
শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন মঙ্গলবার (২১জুন) টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সভাকক্ষে দক্ষতা ও পেডাগজি প্রোগ্রামের ওপর ১৫ দিনব্যাপী মাস্টার ট্রেইনারদের বিস্তারণ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
শিক্ষাসচিব বলেন, কারিগরি শিক্ষার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যমআয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় বাস্তবায়নে মূল ভূমিকা পালন করবে কারিগরি শিক্ষা। সরকার তাই কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এর অবকাঠামো, তালিকাভুক্তি, কারিকুলাম প্রশিক্ষণসহ সবই ঢেলে সাজাচ্ছে। তিনি বলেন, বি এ বা এম এ পাস করে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বেকার থাকলেও কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা নিয়ে কেউ বেকার থাকে না। তাই দক্ষতা অর্জনের ওপর অধিক জোর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে স্কিলস এন্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) এর প্রকল্প পরিচালক মো. ইমরান, সিঙ্গাপুরস্থ ITE Education Services এর পরিচালক Lim Boon Tiong, Temagck Foundation–এর সিনিয়র পরিচালক Yeo Teng Han Gerald ও অধিদপ্তরের পরিচালক ড. শেখ আবু রেজা বক্তৃতা করেন।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরের Temasek Foundation এর আর্থিক সহায়তায় ITE Education Services গত দু’বছরে বাংলাদেশের ৯০ জন কারিগরি শিক্ষককে উচ্চতর দক্ষতা ও পেডাগজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। প্রশিক্ষণের শর্ত মোতাবেক এই ৯০ জনের প্রত্যেককে দেশের ৩ জন করে শিক্ষককে ঐ বিষয়ে প্রশিক্ষিত করার কথা। আজ ছিল তাদের শেষ ব্যাচের প্রশিক্ষণের সমাপনী দিন। অর্থাৎ একই প্রশিক্ষণে দেশের ৩৬০ জন শিক্ষক প্রশিক্ষিত হয়েছে। তাছাড়া সিঙ্গাপুরে নানইয়াং পলিটেকনিক থেকে ইতোমধ্যে ৪২০ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং আরো ১১৫০ জনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।#
আরএইচ