“মায়ের জন্য লাল শাড়ি”

- আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০১৬ ০ বার পড়া হয়েছে
ফোন কল বাজে, ওপারে মমতাময়ী মায়ের শব্দ শোনা যায়।মাগো,তুমি কেমন আছ ? জানি মা, তুমি কখনোই বলবে না যে,তুমি কষ্টে আছ ? কেবলই মুচকি হাসি দিয়ে বলবে,খোকা,আমি ভাল আছি। খোকা তুই এখন কোথায়,দুপুর হয়েছে,খাইছিস তো, কি খাইছিস। কিছুই বলতে পারি না, কেবলই মায়ের মুখের দিকে চেয়ে বলি, মা, জানো, আজ না আমি গরুর মাংস দিয়ে খাইছি। এভাবে মায়ের মনটা খুশি করতে হয় প্রতিদিন। হয়তো এই আশায় মা আমার খুশি হবে। মা ভালো থাকবে,তবুও মায়ের মন বোঝে ফেলে, খোকা তুই বোঝি আজ খাসনি। এমন ভাবেই চলতে থাকে, মা ছেলের দিনগুলো।। ছোটবেলার দিনগুলো বুকে আকড়ে নিয়ে কান্না করার ছাড়া আর কিছুই থাকে না, মা গো আজ আমি অনেক দুরে, মন চায় মা চলে যায় তোমার কাছে, ভাল লাগে না মা, জীবনের অল্পকটা দিন সুখের জন্য কতই না কিছু করছি, মা তুমি রাগ করো না, তোমার ছেলে ভাল আছে। এই তো আর কটা দিন পরেই তোমার ছেলে তোমার খোকা, তোমার কোলে ফিরে আসবে। মা তুমি জানো, তুমি না বলেছিলে, তোমার খোকা বড় হয়ে তোমায় একটা লাল টুকটুকে শাড়ি কিনে দিবে , মা তুমি জানো তোমার ছেলে আজ অনেক টাকা পয়সার মালিক হয়েছে,অর্টালীকায় থাকে,সবই আছে, মা তোমার দেয়া সেই চশমাটাও সযত্নে আছে। তোমার ব্যবহারের সে পানের বাটাটাও আছে, মা, ও মা, কেন বলো না, তুমি যে বলেছিলে, আমি না আশা পর্যন্ত তুমি কোথাও যাবে না, মা সবাইরে দেখি, মা কেবল তোমারে দেখি না, কেন মা, তুমি না বলেছিলে, জীবনে যেন কখনোই মিথ্য না বলি, তা হলে তোমায় আজ দেখছি না কেন মা।
ও মা বলো না, তুমি জানো না, তোমার খোকা ঘরে ফেরে তোমার জন্যই। মা তাহলে তুমি কই,আমার না মা অনেক খিক্ষে পাইছে, কেউ তো মা তোমার মতো খেতে বলে না, মা তুমি জানো,তোমার সেই লাল শাড়িটা না মা আমার বুকের চাদের হয়ে থাকে, আমায় আদর করে ঘুম দেয়, মা তোমায় পরাবো বলে, জানো না, এক টাকা এক টাকা করে জমিয়ে একটা টুকটুকে লাল শাড়ি কিনেছিলাম, কিন্তু মা তা তোমায় দিতে পারলাম না।। মা, আমি যে পারি না তোমার সেই মায়াময়ী মুখটা ভুলতে। মা মনে আছে,আমায় যখন ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে, তখন তুমি কি বলেছিলে, যে আমার খোকা কখনো আমায় ছেরে যেতে পারে না। তাহলে কেন তুমি আমায় ছেড়ে চলে গেলে। মা ও মা বলো না।।। কাঁদছে ঠিক এভাবেই আমাদের মানবিকতা, আমাদের সমাজ, আমাদের বিবেক।।।।বিবেক আজ প্রশ্নবিদ্ধ বিবেকের কাছ????? ”
অসমাপ্ত জীবনের আত্মকাহিনী”
সাব্বির আহমেদ
গণিত বিভাগ , ৪৪ তম আর্বতন , জাবি