জাবি সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ১৪ জনকে শোকজ

ju gateজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) বিডিনিউজের প্রতিনিধি শফিকুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন হলের ১৪ ছাত্রকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুক্রবার (১০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব আগামী ১৮ জুনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

 

অভিযুক্তরা হল, মহিতোষ রায় টিটো (ইতিহাস-৪০), ইকরামুদ্দিন অমি (মার্কেটিং-৪০), সুব্রত কুমার সাহা (পরিসংখ্যান-৪১), বায়েজীদ (উদ্ভিদ বিজ্ঞান-৪২), সিফাত আহমেদ রাতুল (বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-৪৩), প্রিতম আরিফ (ইতিহাস-৪৩), বিপ্লব হোসেন (উদ্ভিদ বিজ্ঞান-৪৩), আজমুস্সাহান নওরোজ প্রণয় (ভূগোল ও পরিবেশ-৪৩), ইকরাম নাহিদ (পরিসংখ্যান-৪৩), আল-আমিন (ভূগোল ও পরিবেশ-৪৩), তপু সুলতান (ইতিহাস-৪৪), আবদুল্লাহ আল ফারুকী ইমরান (ইতিহাস-৪৪), ফাহাদ (ইতিহাস-৪৪) এবং রবিন সরকার (পরিসংখ্যান-৪৪)।

 

এদিকে এ ঘটনায় ১৪ ছাত্রমে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কারের দাবি জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জোট, সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, ছাত্রইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

 

উল্লেখ্য, বুধবার রাত ৯ টার দিকে সাংবাদিক শফিক জাবি’র প্রধান ফটকের সামনে এক তরুণীকে গোলাম সারোয়ার নামক এক অপহরণকারীর হাত থেকে রক্ষা করেন এবং অপহরণকারীকে নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এ সময় মহিতোষ রায় টিটো অপহরণকারীকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করলে শফিক তাতে বাঁধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে টিটো এবং অমি’র নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা রাত সাড়ে দশটায় লোহার রড এবং লাঠি দিয়ে শফিককে মারধর করে। পিঠে এবং মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত শফিক এখন সাভার এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন।#

 

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট