বেগম রোকেয়া কিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

Boishakh-1বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪২৩ উদযাপন করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক ধরে নগরীর মডার্ণ মোড় হয়ে ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। বাদ্যের তালে তালে র‌্যালিতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা রং-বেরঙ্গের বাঙ্গালি ঐতিহ্যের নানা চিত্র প্রদর্শন করেন।

 

এদিকে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্টল সাজিয়ে বাঙ্গালি ঐতিহ্যের নানা চিত্র তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। অপরদিকে দিনব্যাপী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাঙ্গালি খাবারসহ পৃথক পৃথক নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বলেন, আমরা এখন থেকে সামনের দিকেই এগিয়ে যাবো। পেছনের সকল গ্লানি মুছে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাবো। এমন অঙ্গিকার হোক আজকের নববর্ষে।

 

তিনি নববর্ষে ইলিশ না খাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের সাথে ইলিশের কোন সম্পর্ক নেই। পহেলা বৈশাখে ইলিশ নয় বরং নুন-পান্তা-তেল-মরিচই উপযুক্ত খাবার। সাথে ভর্তা বা ডিম ভাজিই যথেষ্ঠ হতে পারে। তাছাড়া ইলিশ প্রজননের এই সময়ে বাঙ্গালী উৎসবের নামে ইলিশ উৎসব করা হলে সাগরে ইলিশের সংখ্যা কমে যাবে। প্রজনন সময়ে উৎসবের নামে ইলিশ নিধন হলে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’ তাই তিনি পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশের চর্চা পরিহার করতে সকলের প্রতি আবারো আহবান জানান।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট